ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রাসায়নিকের তথ্য গোপন না হলে ঠেকানো যেত প্রাণহানি (ভিডিও)

মফিউর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫১, ৭ জুন ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৩, ৭ জুন ২০২২

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে আগুনে প্রাণ গেছে ফায়ার সার্ভিসের নয় কর্মীর। এতে আবারও প্রশ্ন উঠেছে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। রাসায়নিক তথ্য গোপন করা না হলে প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব হতো বলে মনে করেন ফায়ার সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তারা, চেয়েছেন ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত। 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার কন্টেইনার ডিপোতে থাকা রাসায়নিকের ভয়াবহ বিস্ফোরণে আশপাশের অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। 

তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু ডিপোতে থাকা মালামাল সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা না থাকায় সেখানকার ফায়ার ফাইটাররাই সবচেয়ে বেশি হতাহতের শিকার হয়েছেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিজে জ্বলে না। তবে আগুনের সংস্পর্শে এলে ভয়ানক হতে পারে পরিণতি। 

বুয়েট কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, “হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের ন্যাচারটা যদি দেখি তাতে এটা নিজে দাহ্য নয় কিন্তু এটা খুবই রিঅ্যাকটিভ। এটা হচ্ছে অক্সিডাইজিন কেমিক্যাল, কোন কেমিক্যাল যদি রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে নিজে অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে পারে তাহলে কিন্তু আগুনটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।”

রাসায়নিক ডিপোতে আগুন নেভানোর আধুনিক প্রযুক্তি থেকে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে আছে, বলছেন ফায়ার সার্ভিসের সাবেক এই কর্মকর্তা।

ফায়ার সেফটি অ্যাডভাইজার সেলিম নেওয়াজ ভুঁইয়া বলেন, “অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পৃথিবীতে আজ থেকে ৩০-৩৫ বছর আগে যে ব্যবস্থা ছিল আমরা সেই ব্যবস্থাতে পড়ে আছি। এত বড় একটা ব্যবসা চালান হচ্ছে, মুক্ত আকাশের নিচে এভাবে সব কেমিক্যাল স্টোর করে রাখা হচ্ছে অথচ সেখানে কোন অটো ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম নাই।”

তবে প্রতিবেশি অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা অনেক বেশি জানিয়ে সংস্থাটির সাবেক এই পরিচালক ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক পরিচালক মেজর (অব.) একেএম শাকিল নেওয়াজ বলেন, “কেন ফায়ার সার্ভিসের এরকম হল এটা তদন্তের ব্যাপার রয়েছে। আসলে সমস্যাটি কি ফায়ার সার্ভিসের নাকি অন্য জায়গায়। এখানে যদি আইডেন্টিফাই করতে যাই তাহলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিস্ফোরণ অধিদপ্তরের অনুমোদন দেখতে হবে।”

তবে নিয়ম মেনে ডিপোতে রাসায়নিক রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্মার্টগ্রুপ। তবে তদন্তে অনিয়ম পেলে তারাও ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।

স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, “এখানে যদি আমাদের কোন গাফেলতি থাকে সেটার ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।”

এই দুর্ঘটনার প্রভাব থাকতে পারে অনেক দিন। বিকলাঙ্গ শিশু জন্মসহ মানুষ শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগবে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি